Tagged: এমপ্লয়ার গেদারিং, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, হাউ টু
- This topic has 0 replies, 1 voice, and was last updated 8 years, 11 months ago by Kibria.
-
AuthorPosts
-
January 10, 2016 at 3:15 pm #472KibriaParticipant
ডিএমইএবিএস এই প্রথম বারের মত এমপ্লয়ার গেদারিং অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। খুবই মহৎ উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ঠ সকলকে সাধুবাদ জানাই।এই ধরনের অনুষ্ঠানকে এমপ্লয়ার গেদারিং না বলে নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট বলাটা অনেক বেশি শ্রুতিমধুর। একটি সফল নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট আয়োজনে সঠিক পরিকল্পনা,পর্যাপ্ত সময়, সঠিক ব্যবস্থাপনা,অর্থ,পরিশ্রম ছাড়া ও অন্যান্য কিছু মৌলিক বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হয়।তারই প্রেক্ষিতে মোটামুটি ভাবে সংশ্লিষ্ঠ কিছু বিষয়কে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।এখানে বর্ণিত পয়েন্টগুলো ছাড়া ও আরো অনেক বিষয় আছে যা আলোচনায় আসে নাই। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা এই লেখাটিকে পূর্ণতা দিতে পারে।
কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই একটি সফল নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট আয়োজন করার জন্য কি কি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়-
১.সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
একটি সফল নেটওয়ার্কিং সেশন আয়োজন করার জন্য সবার আগে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন:অনুষ্ঠান থেকে কি চান, প্রসপেক্টিভ এমপ্লয়ারদের থেকে কি ধরনের সহযোগীতা চান, অংশগ্রহনকারীদের(এ ক্ষেত্রে ডিএমইএবিএস সদস্য) প্রত্যাশা কি ইত্যাদি বিষয়গুলো স্পষ্ট করা। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানা হয়ে যাওয়ার পর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা শুরু করা বেশ সহজ।
২. অনুষ্ঠানের আওতা ও পরিধি:
এখানে আওতা ও পরিধি বলতে কত বড় অনুষ্ঠান এবং টার্গেট ইন্ডাস্ট্রী কি তা বোঝানো হয়েছে। যেমন: কতজন লোক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করবে,অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তিকাল,অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রসপেক্টিভ এমপ্লয়ারদের ধরন ও সংখ্যা, কি ধরনের আসন ব্যবস্থার প্রয়োজন ( যেমন,রাউন্ড টেবল সিটিং অথবা কনফারেন্স স্টাইল),ব্যাপক জনসমাগম না ফ্রি স্টাইল নেটওয়ার্কিং, এই ধরনের অনুষ্ঠান কি ফি-বছর হবে, নাকি বছরে দুই বার ইত্যাদি বিষয় পরিকল্পনায় এনেই তবে শুরু করতে হবে। পুরো অনুষ্ঠানের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে অনুষ্ঠানের আওতা ও পরিধি নির্ধারন করা অত্যাবশক।
৩. তারিখ নির্ধারণ:
মোটামুটি মাঝারি আকারের অনুষ্ঠান করার জন্য অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া প্রয়োজন। যাতে আমন্ত্রিত প্রসপেক্টিভ এমপ্লয়ারগণ এবং অংশগ্রহনকারী সবাই পরিকল্পনা করে নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখতে পারেন।
৪. স্থান নির্বাচন:
অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আওতা ও পরিধি এবং তারিখ ঠিকঠাক হয়ে গেলে আপনাকে অনুষ্ঠানের ভেন্যু ঠিক করতে হবে। ভেন্যু যত আগে ঠিক করা যায়, ততই সুবিধা।যাতে দৈবাৎ কারণে ভেন্যু পরিবর্তন করতে হলে আপনার হাতে যথেষ্ঠ সময় থাকে।
৫. সবাইকে জানানো:
অনেক সময় আপনি খেয়াল করে থাকবেন যে,অনুষ্ঠান পরিকল্পনার প্রাথমিক প্রর্যায়ে অনেক ঢাক-ঢোল পেটানো হলে ও শেষ পর্যন্ত কাছের দু-চার জন ছাড়া অন্যান্য সবাইকে সে অর্থে সময়মত,নিয়মতান্ত্রিকভাবে আপডেট দেয়া হয় না। এই ধরনের বিষয় সফল নেটওয়ার্কিং সেশন আয়োজনে বিরাট বাধা, যা অনেকের চোখ এড়িয়ে যায়।
৬. খাবার-দাবার:
মনে রাখা প্রয়োজন যে, আপনি নেটওয়ার্কিং সেশন আয়োজন করতে যাচ্ছেন; কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান বা জন্মদিনের নয়। এখানে আগত সবাই আসেবন মিট-এন্ড-গ্রীট, নেটওয়ার্কিং বা প্রফেশনাল কন্টাক্টস তৈরী করার জন্য। তাই, অনুষ্ঠানের খাবারের মেন্যু নির্বাচনে চৌকস হতে হবে। সাধারণ গাইডলাইন হিসেবে,অনুষ্ঠানে আগত অংশগ্রহনকারীদের খাদ্যাভ্যাস বিবেচনায় রেখে হালকা খাবারের আয়োজন করা মানানসই।
৭. আগত অতিথিদের প্রস্তুতি:
পূর্বে থেকেই আপনার আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ফাইনাল অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একটা সাধারণ আপডেট দিয়ে রাখেন।এতে করে অতিথিগণ প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সহজে সমন্বয় করতে পারবেন। যেমন: পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজনেস কার্ড,ফ্লাইয়ার,ব্রসীয়ুর,স্যাম্পল সাথে করে নিয়ে আসতে পারবেন।
৮. অনুষ্ঠানের এজেন্ডা:
অনুষ্ঠানের এজেন্ডা একটি অপরিহার্য বিষয়।যেমন, সন্ধ্যা ৬:০০-৬:১৫ মিট-এন্ড-গ্রীট, সন্ধ্যা ৬:১৫- ৬:২০: স্বাগত ও পরিচিতিপর্ব, সন্ধ্যা ৬:২০-৭:৩০ সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য প্রদান( প্রতি বক্তা ৫-৭ মিনিট সময় হিসেব করে), সন্ধ্যা ৭:৩০-৮:০০ রাউন্ড রবিন স্টাইল, সন্ধ্যা ০৮:০০- ০৮:৩০ ফ্রি স্টাইল নেটওয়ার্কিং।
৯. মিথস্ক্রিয়া:
অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথিদের সাথে অংশগ্রহনকারীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে সহায়তা করা অন্যতম চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। যেমন ধরুন, কেউ হয়তো অতিথিদের সাথে সহজেই কথা-বার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ হয়তো হল রুমের এক কোনে চুপচাপ বসে আছেন।সে ক্ষেত্রে আয়োজক হিসেবে আপনাকে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। নেটওয়ার্কিং এর মূল ভিত্তিই হলো কার্যকরী মিথস্ক্রিয়া।
১০. একজন অংশগ্রহণকারী/আয়োজক হিসেবে আপনি কি চান:
দুষ্ট লোকেরা এই বিষয়টিকে ঘুরিয়ে বলে,অনুষ্ঠানে গেলে আমার কি লাভ? লাভ-ক্ষতির হিসেব না করে নেটওয়ার্কিং সেশনের পুরো সময়টিকে কাজে লাগান। যেমন,আপনি নিজেকে প্রমোট করতে পারেন,প্রসপেক্টিভ এমপ্লয়ারদের অথবা তাদের কাজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাতে পারেন। মোটকথা, এই পুরো সেশন থেকে আপনার যেন কোনো না কোনো টেক-ওয়ে থাকে।
১১. ফিডব্যাক ও ফলো আপ:
যদি ভাবেন ধুমধাম বা অস্থির অনুষ্ঠান হয়েছে,আমাকে আর কে ঠেকায়;অর্থাৎ আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন তো, মাঠে মারা গেছেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ের ব্যাপারে ফিডব্যাক নেয়াটা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ফিডব্যাক নেয়ার পরে সেটা ফলো আপ করা ও সমানভাবে গুরুতপূর্ণ। অনুষ্ঠানের শেষে আপনার কন্টাক্টদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেইল করতে পারেন,কোনো রেফারাল থাকলে জানাতে পারেন অথবা তাদের কোনো রেফারালের প্রযোজন আছে কিনা তা জানতে পারেন। তবে এই ধরনের ফলো আপ করার সময় আপনাকে ক্লীয়ার এন্ড কনসাইজ হতে হবে।সব সময় মনে রাখতে হবে যে, নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের প্রতিটি কাজ বা ধাপ, কাজের সমন্বয়, কি বলছেন,কি করছেন সব বিষয়াদি প্রসপেক্টিভ এমপ্লয়ারদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ছাড়া নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করলে হিতে বিপরীত হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করি ডিএমইএবিএস প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েই তবে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করবে।
- This topic was modified 8 years, 11 months ago by Kibria.
-
AuthorPosts
- You must be logged in to reply to this topic.